ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ মাল্টা বিদেশী ফল হলেও বর্তমানে বাংলাদেশে এই ফলটির হচ্ছে বাণিজ্যিক চাষাবাদ। মাল্টা চাষ করে অনেকে আজকাল সফলতার মুখ দেখছে। অনেক বেকারের হয়েছে কর্মসংস্থান পাশপাশি এটি চাষে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন প্রান্তিক চাষিরা। এদিকে মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা আখানগর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের হুমায়ুন কবির।ফসলের চেয়ে কম খরচে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় মাল্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন নতুন নতুন উদ্যোক্তারা।
হুমায়ুন কবির বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে সংগ্রহ করি প্রথমে আমি ৩৫০টি জাতের মাল্টা গাছের ৬০শতক জমিতে লাগাই। সেখান হতে ২০টি চারা নষ্ট হয়। এখন ৩২০টি গাছ আছে আমার বছরে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা আয় হয়। বাগান সম্প্রসারণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মাল্টায় লাভের মুখ দেখার পর আমি আরো দশ বিঘা জমিতে ১৫০০টি মাল্টা গাছের চারা লাগিয়েছি। মাল্টা বাগান করে অন্যান্য ফসলের চেয়ে আমি দ্বিগুন লাভবান হয়েছি। আমি মাল্টা বাগান করে যেমন লাভবান হয়েছি। তেমনি এই অঞ্চলের মানুষের শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরনে ভূমিকা রাখছি।
বাগান হতে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে । এসব ফল বাজারে পাইকারেরা ১৮০-২০০টাকা কেজি দরে বিক্রি
এই এলাকার মাটি অম্লযুক্ত যা মাল্টা চাষের জন্য উপযোগি। আকার রং ও মিষ্টতার কারণে বারি১ মাল্টা চাষাবাদের জন্য ভাল। অন্য কোন ফসল বা ফল আবাদ করে এত দ্রুত লাভবান হওয়া সম্ভব নয়। যা মাল্টা বাগান করে সম্ভব।। যেহেতু ২/৩ বছরে গাছে ফল আসে। প্রতি বিঘা জমিতে ১০০ থেকে ১২০টি মাল্টা চারা রোপণ করে একটানা ২০ বছর ফল সংগ্রহ করা যায়।
প্রতিটা গাছ থেকে প্রথম বছর ১০ থেকে ২০ কেজি হারে ফল পাওয়া যায় এবং দ্বিতীয় বছর থেকে গড়ে এক মণের বেশি ফল সংগ্রহ করা যায়। সাধারণত চারা রোপণের দুই বছর পর গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। বারি মাল্টা-১ উচ্চ ফলনশীল ও নিয়মিত ফলদানকারী ভিটামিন সি’সমৃদ্ধ। পাকা ফল দেখতে আকর্ষণীয় সবুজ এবং খেতে সুস্বাদু।
মধ্য ফাল্গুন মাস থেকে মধ্য চৈত্র পর্যন্ত সময়ে মাল্টা গাছে ফুল আসে এবং কার্তিক মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। মাল্টা চাষে অল্প খরচ,কিন্তু লাভ অনেক বেশি। তাই একদিকে যেমন এ ফলের আমদানি কমবে, তেমনি মিটবে স্থানীয় চাহিদা। আর স্থানীয় চাহিদা মেটানো সম্ভব হলে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও আয় হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত Choice TV News 2023