বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের ফলাফল পরিবর্তনের অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বলেন, আমার জয় ছিনতাই হয়েছে। এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান. ফলাফল বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করব।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় বগুড়া শহরতলীর এরুলিয়ায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলম মহাজোট প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। একক তারকা প্রতীকে হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। নির্বাচনে ভোটের হার ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।
আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট স্রষ্টা হিরো আলম আরও বলেন, “অনিয়মের বিষয়ে আমি এখনো কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করিনি। তবে ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাব। প্রশাসন ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা না করেই ফলাফল দিয়েছে। আমি ছিলাম না। সেসব কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে তা জানান।
ফল ঘোষণার আগেই অনিয়মের অভিযোগ করেন হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘দুই উপজেলার ১১২টি কেন্দ্রে এজেন্ট দিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ফলাফলের স্বাক্ষরিত কপি দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, “ভোটের পরিবেশ মেলা দেখেছি। কিন্তু জায়গায় জায়গায় গোলমাল হয়েছে। ফলাফল বদলে গেছে। সদরের ভোট নিয়েও অভিযোগ আছে। লাহেরী পাড়ায় আমার এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি। তানসেনের কোনো নাম-গন্ধ নেই। পাস করা হয়েছে।
হিরো আলম বলেন, ‘কিছু শিক্ষিত মানুষ আমাকে মানতে চায় না। তারা মনে করে আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের হিরো আলমেক স্যার বলে সম্বোধন করতে লজ্জা লাগে। আমাকে জিততে দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘মহাজোটের মশাল মার্কা কোনো কেন্দ্রে ৫০০ ভোট পেলে আমার ২৮ ভোট পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি শহরে একটু আতঙ্কিত ছিলাম। এ কারণে বাসায় সংবাদ সম্মেলন করছি।
ভোটারদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘৮-১০ জন কর্মী ও একটি পিকআপ ও একটি মাইক্রোফোন নিয়ে নির্বাচন করেছি। আমার জীবন ধ্বংস করে ভোট দিয়েছেন। ভোটারদের ধন্যবাদ। পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত Choice TV News 2023